ছাত্রীদের নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্র উপদেষ্টার অবান্তর মন্তব্যের প্রতিবাদ, তাকে পদ থেকে অপসারণ এবং সান্ধ্য আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

শনিবার (১৪ মে) সকালে ছাত্র ফেডারেশনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রীদের নিয়ে করা; ছাত্র উপদেষ্টার মন্তব্যের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তার বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি নারী শিক্ষার্থীদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। যা একজন শিক্ষক করতে পারেন না। ভুল স্বীকার করে তার বক্তব্য প্রত্যাহার এবং কীসের ভিত্তিতে তিনি মন্তব্য করেছেন তার জবাবদিহিতা করতে হবে। আমরা মনে করি, এমন মন্তব্য করার পর তিনি নৈতিকভাবেই ছাত্র উপদেষ্টার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল থাকতে পারেন না।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সান্ধ্য আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণার সাথে সাংঘর্ষিক। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক এবং শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি সর্বোপরি উন্মুক্ত জ্ঞান চর্চার পথ বন্ধ করে দেয়। ফলে শিক্ষার্থীদের মুক্ত বিকাশ ও মনন গঠনে অচিরেই সান্ধ্য আইন বাতিল করতে হবে।

সান্ধ্য আইন বাতিলের দাবিতে নারী-পুরুষ সকল শিক্ষার্থীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং সান্ধ্য আইন বাতিলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাধ্য করারও পরামর্শ দেন তারা।

উলেখ্য, সান্ধ্য আইনের যৌক্তিকতা নিয়ে একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ছাত্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা অনেক বেশি এলোমেলো জীবনযাপন করছে এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের নামে অভিযোগ আসছে। ফলে তাদের হলে প্রবেশের বিষয়ে আগের চেয়ে সময় কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। পরে আবার তিনি দাবি করেন, তার মন্তব্য গণমাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।